শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ, ১৪৩১
শামীম তালুকদার, সুনামগঞ্জ।।
সুনামগঞ্জের ছাতক ও দোয়ারা উপজেলার চেলা ও মরা চেলা নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকায় প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ২০০০ নৌকার মালিক, ও শতাধিক ক্ষুদ্র বালু ব্যাবসায়ী জীবিকা নির্বাহে বিপাকে পড়েছেন।
দীর্ঘ তিন মাস ধরে মানবেতর জীবন-যাপন অতিবাহিত করেছেন তারা। পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন যাপন করছেন এখানকার শ্রমিকরা।
জানা যায়, ১৪২৭ বাংলা সনে বালুমহাল ইজারা না হওয়ায় এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জটিলতার অজুহাতে ইজারা প্রদানে বিলম্ব হওয়ায় সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে কয়েক হাজার শ্রমিক বেকারত্বের করাল গ্রাসে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এ বিষয়ে মো. আল-আমিন, সেলিম মিয়াসহ একাধিক বালু শ্রমিক জানান, তিনমাস ধরে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় অবস্থায় রয়েছি। অপরদিকে করোনা পরিস্থিতির জন্য লকডাউন। অথচ আমরা সরকারী কোন সহায়তা পাইনি।
ছাতক বাজার একতা বালু উত্তোলন ও সর্বরাহকারী ক্ষ্রদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি আব্দুস সাত্তার ও সাধারন সম্পাদক মো. দিলোয়ার হোসেন বলেন, চলিত বছর ইজারা না হওয়ায় বালু উত্তোলনকারী শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনাহারে-অর্দাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সকল জটিলতা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরশন করে বালু মহাল উম্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট দাবী জানান তারা।
ইসলামপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়াডের সদস্য আনার পাশা বলেন, আমার এ ওয়ার্ডে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক রয়েছেন। তিন মাস ধরে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকায় তারা অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করছেন। চেলা ও মরা চেলা নদীতে ইজারা সংক্রান্ত জটিলতা দ্রুত নিরসন করে কর্মহীন শ্রমিকদের দূর্দশা লাঘোবের জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট বিষয়টি সরকারী রাজস্বের স্বার্থে ও কর্মহীন শ্রমিকদের কথা বিবেচনায় এনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন বালু উত্তোলনকারী শ্রমিকরা কর্মহীন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ এর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিব না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।